৩১ অক্টো, ২০১২

অনন্য গ্রন্থ রিয়াদুস সলিহীন পড়াশোনা


রিয়াদুস সলিহীন গ্রন্থটি ইমাম নববী (রহিমাহুল্লাহ) এর সংকলন। এই মানুষটা মাত্র ৪৫ বছর বেঁচে ছিলেন, ভাবলে শ্রদ্ধায় বুক আর্দ্র হয়ে আসে। তার এই মহতী গ্রন্থটি সমগ্র বিশ্বের স্কলারদের কাছেই সমাদৃত।

আমি ডক্টর বিলাল ফিলিপস, ইমাম সুহাইব ওয়েবকে দেখেছি এই বইটি থেকে শিখতে উৎসাহিত করেছেন। এই গ্রন্থে ইমাম নববী বিষয়বভিত্তিক কুরআনের আয়াত এবং হাদিস একসাথে করেছেন। এই বিষয়গুলো এতই সুন্দর করে সাজানো যে হাদিস এবং কুরআনের বিশাল জগতে কোথা থেকে কী পড়বো এই টেনশনে পড়তে হয়না। বরং আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুন্দর একটা নির্দেশনা দিবে এই গ্রন্থ। কেবল হাতে নেয়াই আসল কাজ।

২৬ অক্টো, ২০১২

ক্রিকেট ম্যাচ, চিয়ার গার্ল আর আমাদের ডিসেনসিটাইজড হওয়া

জীবনের একটা সময় কাটিয়েছিলাম, যখন কোন ক্রিকেট খেলা মিস দিতাম না। পড়াশোনার বাইরে বিনোদন বলতে তখন কেবলই ছিল গল্পের বই পড়া আর ক্রিকেট দেখা। তাই মন দিয়ে দেখা গত শতাব্দীর শেষ দশকের অজস্র ক্রিকেটিয় খবর অবললীলায় বলতে পারতাম।

খেলার মাঠে চিয়ার গার্লদের উদ্বোধন ও তাদের নিয়মিত উপস্থিতির পর থেকে কখনো ক্রিকেট খেলা দেখতে টেলিভিশনের সামনে বসতে সাহস করতে পারিনি। বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই মিলেই একটা সময় খেলা দেখা হত। অথচ চিয়ার গার্লদের ওই পোশাকে নর্তন কুর্দন এবং তাদের প্রতি ক্যামেরার আকর্ষণের কথা যা স্মৃতিতে আছে, সেটাই আতঙ্ক জাগায় মনে।

২৪ অক্টো, ২০১২

আমরা পথে ঘাটে ভালোবাসা বিলি করে বেড়াই, ঘরে আমাদের দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে


আমরা কমিউনিকেশনের যুগে বসবাস করছি, যেখানে ভালোবাসা নামক পণ্যের প্রবল প্রচার আর প্রসারে ব্যতিব্যস্ত আমাদের জীবন। টেলিভিশন কমার্শিয়াল, সিরিয়াল, মুভি আর বিলবোর্ডের মাধ্যমে ডুবে থাকি ভালোবাসায়। আমাদের চারিদিকে ভালোবাসা -- ট্যালকম পাউডার বেচতেও ভালোবাসা, লোশন বেচতেও কোমলতার ভালোবাসা, ভালোবাসার টানে টেনে হিঁচড়ে পাশে মানুষ-অমানুষ সবাইকে নিয়ে চলে আসে মোবাইল অপারেটররা। আমাদের ভালোবাসারা বিক্রি হয় প্রতিটি পণ্যে।

এই ভালোবাসাবাসির দুনিয়ায় আমরা ঘরের বাইরে গেলে পরিচিত পরিমন্ডলে বেশ আমাদের অনেকেই বন্ধুদের সাথে, ক্লাসমেট ও কলিগদের সাথে, এমনকি হয়ত যেকোন অপরিচিত মানুষের সাথে বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলি, হয়ত প্রয়োজনেই। ইচ্ছে না হলেও অন্ততঃ চেষ্টা করি ভালোভাবে কথা বলতে যেন তাদের মনে খারাপ না লাগে। অথচ নিকটাত্মীয় ভাইবোন, বাবা-মায়ের সাথে কোন ধরণের সৌন্দর্য ছাড়া চাঁছাছোলা কুৎসিত শব্দ দিয়ে কথা বলি...

২১ অক্টো, ২০১২

কতিপয় হলকায়ে জিকির আর আমাদের এফএম প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প


আমার বাসার নীচতলায় পুরো স্পেসটাই ফাঁকা থাকে, বাড়ির মালিক একটি দরবার শরীফের পীরের মুরিদ। আজকে তাদের পাক্ষিক জিকির দিবস। ঘরভর্তি জনাত্রিশেক লোকের 'লা ইলাহা এল্লাল্লাহ' (ইল্লাল্লাহ হওয়া উচিত) চিৎকারে এলাকা প্রকম্পিত হবার অবস্থা। আল্লাহর একত্ববাদকে কেবলমাত্র চিৎকারের মাধ্যমে জনসাধারণের মনে বসিয়ে দেয়ার ভাবনায় এই আয়োজন কিনা তা কে জানে!! বিগত ঘন্টাখানেক ধরেই এই সশব্দ জিকির চলছে। চলবে অন্তত রাত দশটা অবধি... গমগম শব্দে তৈরি হয়েছে এক ভয়াল পরিবেশ, বুকে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। তাদের এই সশব্দ স্মরণশালায় নেই কোন সৌন্দর্য, মাধুর্য, শুনে আত্মায় কোন প্রশান্তি আসে না...

১৮ অক্টো, ২০১২

প্রশান্ত হৃদয়

আজ অদ্ভুত একটা অনুধাবন হলো, একদম নতুন, একদম অন্যরকম!! আজকে কৃতজ্ঞ চিত্ত আর প্রশান্ত হৃদয়ের একটা স্বরুপ জানলাম...

ইমাম সুহাইব ওয়েবের একটা আলোচনা শুনছিলাম আজ। একটা বিষয়ে যা বুঝেছি তা অনেকটা এমন --

দুনিয়ার জমিনে, জীবন ধারণে আমরা অনেক স্যাক্রিফাইস করি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। হয়ত সবাই কোন উপলক্ষে গান শুনছে যখন, ছেলেমেয়ে এলোমেলো আনন্দ নাচানাচি করছে, তখনো আমরা এইসব বিষয়কে এড়িয়ে চলছি আল্লাহর দ্বীনকে পালন করার জন্য। কারণ আমরা জানি এইসব আচরণের বহুমাত্রিক ক্ষতি আমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে জীবনকে ফিতনাময়, অশান্তিময় করে ফেলে। সামনে পিছনে অজস্র অবৈধ টাকা-পয়সার স্রোত, অথচ আমাদের জীবনে অনেক অভাব থাকলেও আমরা হয়ত কষ্টই করে যাচ্ছি...

১৪ অক্টো, ২০১২

আলোকিত মানুষদের জানা হয়নি এতকাল

ইমাম ইবনে তাইমিয়া, ইমাম শাফিঈ, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আয যাহাবী, ইমাম আর রাজী, ইমাম আস-সুয়ুতি , হাসান আল বাসরি .... (রহিমাহুল্লাহ)

জীবনের দীর্ঘ একটা সময় এই মানুষগুলাকে চিনতামই না প্রায়। নাম শুনলেও ধারণাই ছিলনা উনারা কারা, কখন এসেছিলেন এই দুনিয়ায়, কবে চলে গেছেন আল্লাহর কাছে। কি দিয়ে গেছেন তারা আমাদেরকে। কল্পনাই ছিলনা তারা কতটা অসাধারণ, কত গভীর আর উঁচুমাপের জ্ঞান রাখতেন !!

অথচ বিগত শতাব্দীর প্রায় সমস্ত বিখ্যাত লেখকদের আমি চিনি। অজস্র উপন্যাস আর অনুবাদ পড়েছি দেশ-বিদেশী লেখকদের। এমন একটা সময় ছিল জীবনের, আমি ইংরেজি সাহিত্যের বিগত কয়েক শতকের লেখকদের নাম, তাদের বিখ্যাত সবগুলো বই চিনতাম, কিছু কিছুর কাহিনীও জানতাম।

যেই জ্ঞান আমাকে আমার আসল পথের আলো হয়ে পথ দেখাবে, সেই আলোকবাহী মানুষগুলোকে আমি চিনিনি, তাদের অসাধারণ মোহমুগ্ধময়, অন্তরালোকিত করার সেই সাহিত্য, সেই দর্শন আমার অজানাই রয়ে গেছে। মাঝে মাঝে এখানে ওখানে কিছু উদ্ধৃতি পাই, কিন্তু জানিনা কবে তাদের লিখে যাওয়া বইগুলো পড়তে পারব। 

কত পড়া বাকী, কত যে শেখা বাকি, কত যে কাজ বাকী... 

জানতেই যদি না চাইলাম, জানতেই যদি না পারলাম, করতেই যদি না পারলাম কাজ, বদলে দিতে না চাইলাম, না পারলাম -- নিজেকে আর আমাদের সমাজকে, মানুষদেরকে... 
তবে, মুক্তি মিলবে কী করে? :(

১৩ অক্টো, ২০১২

আমার পছন্দের ওয়েবসাইট তালিকা

একটা সময় ইসলামের সাথে জীবনবোধকে কীভাবে সংযোগ করতে হবে, এমন কথাবার্তা খুঁজেই পেতাম না অনলাইনে বাংলা ভাষায়। দু'একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আর আপু অনলাইনে লিখতেন নিজেদের মতন করে, তাদের দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। তবু, যারা ইসলামের নামে কুৎসা রটায়, তাদের প্রচেষ্টা আর ভলিউমের তুলনায় সেটা হয়ত হাজারগুণ ক্ষুদ্র ছিল। আমাদের হয়ত বুদ্ধিবৃত্তিক কিছু করার চাইতে আবেগ খাটানোর প্রক্রিয়াটা মাত্রাতিরিক্ত রকমের বেশি, তাই ঘুরে ফিরে সবখানে লোকজনকে দুষেই দিন যায়।

অনেকদিন আগে থেকে ঘাঁটতে ঘাঁটতে অনলাইনে আমি কিছু সুন্দর ওয়েবসাইটের খোঁজ পেয়েছিলাম একসময়। সেগুলোতে নিয়মিত গিয়ে ঘুরে ফিরে এলে মন ভালো হয়ে যেত। এমন কিছু ইংরেজি সাইটে এখনো ঢুঁ দেই মাঝে মাঝে, কতগুলোতে নিয়মিত যাই, চিন্তার খোরাক পাই, নতুন মাত্রা পাই।

একটা তালিকা উল্লেখ করছি, আমি বিশ্বাস করি, ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ!

 বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ সাইট
@@ এছাড়াও যে লেখাটি দেখতে পারেন:: বাংলা ভাষায় দারুণ কিছু ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ

১১ অক্টো, ২০১২

যখন অস্থির লাগে প্রাণ


জীবনের উদ্দেশ্য কী আর সেই উদ্দেশ্যে নিজের জীবনকে কীভবে ধারণ করতে হবে, এটা বুঝে আমরা অনেকেই পুরোনো ভুল জীবনযাপন ধরনকে বদলে ফেলি। তখন বেশ কঠিন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

আপনি যেদিন থেকে জীবনকে যখন *কেবলমাত্র* আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধারণ করতে চাইবেন, যেদিন পুরোনো অর্থহীন কাজকর্ম আর পরিচিতমহলের, বন্ধুমহলের তুচ্ছ সব কথাবার্তা, গীবত, পরশ্রীকাতর আলাপ, হট জোক্স টাইপের আলাপ থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে আনতে চাইবেন -- তখনই আপনার বন্ধুশূণ্যতা হবে, নিজেকে হয়ত নিজভূমে পরবাসী মনে হবে, কখনো কখনো নিজেকে ভুল ভুল মনে হতেও পারে...

১০ অক্টো, ২০১২

একজন মেঘমানুষ আর কিছু হাসিমুখ কথা

আমার কাছে মনে হয় কিছু মানুষ হলো একরাশ মেঘের মতন। তাদের কথাগুলো স্নিগ্ধ, কোমল, তাদের চিন্তাগুলো মায়ামাখা, আন্তরিক আর হৃদ্যতাপূর্ণ... তাদের সাথে কথা বললে মনে হয় যেন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঝরছে মুখের উপরে...

আল্লাহ এমন বাঙময়, প্রিয়ভাষী/প্রিয়ভাষিণী মানুষদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিন আমাদের মাঝে। তারা যেন তাদের স্নিগ্ধতা আর হৃদয়ের কোমলতা আর সৌন্দর্যে আমাদের মতন হতভাগাদের মনের, চিন্তার কষ্টকে সারিয়ে দেন আচানক রহমত হয়ে এসে... আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর রাহমাত যেন এমন মানুষদের উসিলায় আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিন আরো আরো বেশি...

আজ দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে। সেটা খুব সুখানুভূতির উদ্রেক করছিল না কিছু কারণে। কিন্তু অমন মেঘময় মানুষদের সাথে কথা বলে মনের ক্ষতগুলো একদম দূর হয়ে গেলো... সুবহানাল্লাহ। মন সিক্ত হয়ে আছে... ভালো লাগায়, ভালোবাসায়...

যেসব মানুষের সাথে কথা বলে আল্লাহর স্মরণে অন্তর বিগলিত হয়, আল্লাহর প্রতি বেশি কৃতজ্ঞতা জাগে, তারাই আসলে আল্লাহর আলোয় আলোকিত অন্তর ধারণ করেন...

৮ অক্টো, ২০১২

ঘরে ফেরার আয়োজন

প্রতিদিন কত কিছুই তো ঘটছে জীবনে, ঘটবেও। উত্থান আর পতন প্রতিদিন, প্রতিবেলা। অজস্রবার, অজস্রভাবে... অনেক যন্ত্রণা আর কষ্ট। এরই মাঝে কিছু সুন্দর মূহুর্তও আছে, থাকবে। থাকবে --

অজস্র ভুল,
ভুলের সংশোধন,
অনুতাপ,
আঘাত,
ভালোবাসার বসন্ত,
অভাবের উত্তাপ,
অসুস্থতা,

৭ অক্টো, ২০১২

ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে গুগল সার্চ

ইমাম ইবনে তাইমিয়ার নামে গুগল সার্চ দিয়ে একটা আস্তাকুঁড় ব্লগে চলে গিয়েছিলাম। আরেকটা ওয়েবসাইটে গিয়েছিলাম। আফসোস!! চোখে পানি আসতে বাকি ছিল। নরাধমগুলো এমনভাবে ভাষা ব্যবহার করেছে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা | Imam Ibn Taimiyyah (রাহিমাহুল্লাহ)-কে নিয়ে, যেন তাদের বাসার পাশের বস্তির রিকশাওয়ালাকে নিয়ে গীবত করতে বসেছে। অদ্ভুত আর আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। ইসলামের নামে ওয়েবসাইট খুলে রেখে, ব্লগ খুলে রেখে এসব দিয়ে আখিরাতের ভয়াবহতা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কি? আর আমরা যারা নিজেদের মুসলিম মনে করি, মুক্তি চাই আল্লাহর কাচে, আমাদের কর্মতৎপরতা কোথায়? আমরা আসলে কী করি? কয়টা প্রোডাক্টিভ কাজ করি একটা দিনে? কয়টা জিনিস শিখি? শেখাই? কাজে লাগাই জ্ঞান?

 আশ্চর্য লাগে, মানুষের বিশ্বাসে, চেতনায়, আচরনে, দৈনন্দিন জীবনধারণে ইসলামী অনুপ্রেরণা থাকে না, থাকেনা মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ -- অথচ মূর্খতায় ডুবে থাকা ঘৃণা উদগীরণে সদা তৎপর থাকে আমাদেরই সমাজের মানুষগুলো। একটা সময় এদের দেখে হতাশ হতাম -- এখন সম্পূর্ণ অনুপ্রেরণা পাই, এরা আমাকে আরো বেশি দৃঢ়চেতা করে দেয়। নিজের ভিতরের পশুটাকে ভালো করে চিনতে শেখায়। তার বিরুদ্ধে নিজেকে প্রস্তুত হতে অনুপ্রাণিত করে, সচেতন করে।

যেই মানুষগুলো জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর পথে -- জ্ঞানে, সৎকাজের প্রতিষ্ঠায়, অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদে যারা কাঁপিয়ে দিয়েছেন ন্যায়হীন নীতিহীন শাসকদের অন্তরাত্মা; এমন মানুষদের নিয়ে প্রবল তুচ্ছ জ্ঞানসম্পন্ন পাপাসক্ত মানুষগুলো গন্ডমূর্খ না হলে কীভাবে কুৎসা রটায়? যিনি আখিরাতে মুক্তি চাইবেন, তিনি অবশ্যই নিজের প্রতিটি কাজের প্রতি খেয়াল রাখবেন -- এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সরল সঠিক পথে রাখেন, যেন আমরা তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। আমাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট অভিশপ্তদের দল থেকে যেন মুক্ত রাখেন। আমিন।


২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

৫ অক্টো, ২০১২

ফেসবুকে নির্লজ্জতার প্রসার ও কিছু চিন্তা


আধুনিক তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটা অংশ এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এই সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে সবারই ব্যাপক পদসঞ্চালন। টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমে ক্ষণিকের মাঝেই জেনে যাওয়া যায় সারা পৃথিবীর অনেক খবর। আন্তর্জাতিক সাংবাদিকগণ তাদের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন খুবই নিয়মিভাবে। তেমনি সমস্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও এখানে সংযুক্ত হয়েছে সহজেই মানুষের কাছে পৌছাতে, তাদের কাছে নিজেদের সেবা ও পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া, ভোক্তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়া এবং সেই অনুযায়ী ব্যবসার উৎপাদন বৃদ্ধি করার নজীর রয়েছে পর্যন্ত। শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং খেলোয়ার ও অন্যান্য সেলিব্রিটিরাও তাদের ভক্তদের অনেক কাছে চলে যেতে ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সোশাল নেটওয়ার্ক।

৩ অক্টো, ২০১২

কী চাই? কেমন করে চাই?

কোন বাঁধা গৎ বলতে না, বরং স্রেফ একটা বই পড়তে গিয়ে একটা উপলব্ধির কথাগুলো বলতে ইচ্ছা করছে। বহুদিন ধরে দেখে আসা অনেকগুলো বিষয়ে নিজের একটা অনুধাবন হলো।

এই সমাজে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ইসলামটা একটা ধর্মীয় আচার, যেই ফ্রেমের বাইরে একসময় আমিও ভাবতে পারতাম না। "আমার জীবনের এই কাজটি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বা তার নির্দেশিত পথে? " -- এই প্রশ্নটা যিনি তার প্রতিটি কাজেই করেন, করতে আগ্রহ রাখেন আন্তরিকভাবে -- মূলত তিনিই ইসলামকে দ্বীন হিসেবে বুকে জড়িয়ে ধরতে চান। তিনিই আসলে, আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে তার দাসত্বে নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।

২ অক্টো, ২০১২

[গ্রন্থচারণ] কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা : খুররম মুরাদ




ওস্তাদ খুররম মুরাদের লেখা 'Way To Quran' বইটার বাংলা অনুবাদ আমি সেদিন দোকানে পেয়ে চোখ বন্ধ করে খামচে ধরে কিনে ফেলেছি! বইটার নাম 'কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা'। এরকম রত্ন টাইপের জিনিসের দাম এত কম! বইটা হাতে নিয়ে বুক কেমন টলমল করে উঠেছিল। যেদিন ইংরেজিতে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম, অল্প ক'পৃষ্ঠা পড়ে বারবার মনে হচ্ছিল, আমি যদি অনুবাদ করে সবাইকে পড়তে দিতাম, সবার কতইনা উপকার হত!! এই বইটা উনি কুরআন পড়ার ব্যাপারে যারা শিক্ষানবীস, কোথায় কেমন করে পড়লে বেশি উপকৃত হওয়া যেতে পারে, তাদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। অনেকটা আমার মতন ছেলেপিলেদের জন্য। বাংলা অনুবাদটাও বেশ সুন্দর লাগলো পড়ে। কুরআন ছাড়া জীবনে কোন কিছুই ঠিকমতন করতে পারবনা আমরা, পারিনা, হয়না। এত সুন্দর এই মহান গ্রন্থটিকে কত অবহেলাতেই না আমরা ফেলে রাখি।

ইনশাআল্লাহ এই বইটি আমাদের উপকারে আসবে সবারই। দারুণ এই বইটার লিঙ্কঃ


ওস্তাদ খুররম মুরাদ কুরআন নিয়ে আমাদের জন্যই হয়ত বলেছিলেন সুন্দর একটা কথা:

"কেউ যদি কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও অন্তরে সংস্পর্শ না লাগে, হৃদয় আলোড়িত না হয়, জীবন অপরিবর্তিত থেকে যায়, খালি হাতে ফিরেন, যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবেই প্রত্যাবর্তন করেন, তাহলে তার চেয়ে মর্মান্তিক দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?" 

আল্লাহ যেন আমাদের দুর্ভাগাদের দলে না ফেলেন। আল্লাহ যেন তার এই গ্রন্থটিকে বুকে রেখে তার উপর আমল করে তার সন্তুষ্টি অর্জনপূর্বক দুনিয়া থেকে আমাদের নিয়ে যান তার কাছে। নিঃসন্দেহে আমরা সবাই আল্লাহরই এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে...

* * * *
বইটি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
বইয়ের নাম: কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা
লেখক: খুররম মুরাদ
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য: ৬৫ টাকা
প্রকাশক: বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।