২১ মে, ২০১৪

মনের জানালা মাঝে # ১৪


(১৪৬)
জেনে রাখুন, মন খারাপের বেলায় কেউ কখনো কোনদিনই পাশে থাকবে না।
আপনার ভাঙ্গা হৃদয় কখনো জোড়া লাগবে না যদি তা আল্লাহর কাছে সঁপে দিতে না পারেন।

(১৪৭)
কেউ আমাদের ভুল ধরিয়ে দিলে আমাদের মাথায় আগুণ ধরে যায়। আবার, কিছু কিছু মানুষ সবসময়ে খালি অন্যের ভুল ধরে -- দুটো ব্যাপারই ইগো থেকে হয়। সমালোচনার কাজটা করে তারা নিজেদের সুপিরিয়র অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। আত্মিক দৈন্য যতটাই হোকনা কেন, সেটা পাতলা হয়ে যায় অন্যের ভুল ধরার মাধ্যমে। may Allah save us from this ego too....and help us to overcome our mistakes...

(১৪৮)
আমাদের বাবা-মায়েরা প্রত্যাশা করেন আমরা যেন *তাদের মত করে* ভালো থাকি...
কিন্তু, তাদের চাওয়া আর আমাদের চাওয়ার বৈপরীত্য অনেক বেশি।

(১৪৯)
ফেসবুকে ছদ্মনামে প্রোফাইল খোলার মানে কিন্তু এই না যে এই অ্যাকাউন্টের কর্মকান্ড কিরামান-কাতিবিনের হিসেবের খাতার বাইরে চলে যাবে। খেয়াল রাখা উচিত আমাদের...

(১৫০)
নিশ্চিত থাকুন, এই পৃথিবীতে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই, আপনি সবকিছু ঠিকঠাক করে পাবেন না। পেরেশানি, অশান্তি, যন্ত্রণা তাড়া করে ফিরবেই। তাই, অন্তরে শান্তি আদায় করে নিতে হবে আল্লাহর প্রতি নির্ভর করে। তবে, এই জীবনের যারা শান্তিতে থাকে, তারাই অনন্তকালেও শান্তি পাবে। এই দুই সময়েই শান্তি পাওয়ার কেন্দ্র একজনই --যার হাতে সব ক্ষমতা। মানুষ তো অকৃতজ্ঞ, অন্যায়কারী; মানুষের কাছে আশা করলে ধাক্কা খেতেই হবে।

(১৫১)
ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবাসার চেয়ে শ্রদ্ধা করতেই আমরা অনেকে বেশি ভালোবাসি। ভালোবাসাটা তখন আরো মজবুত হয়, তার প্রতি শ্রদ্ধামাখা আচরণগুলো হয় বিনীত, নম্র... অনেক বেশি সুন্দর!

(১৫২)
কখনো কখনো মনে হয়, অপেক্ষাই মনে হয় অনেক সুন্দর!

কষ্টে থেকে সুন্দরের অপেক্ষায় থাকলে তখন একটা জ্বালা থাকে চামড়ার ভেতরের প্রান্তে, চামড়ার উপরে প্রান্তেই আবার ঠিক তখনই হিমেল বাতাস বয়, বুকে একটা চাপা কষ্ট থাকে, তাই মুক্ত নিঃশ্বাসটাও কেমন

ভারী হয়ে আসে। প্রাপ্তি? সে তো কেবল আল্লাহর ইচ্ছা। অপেক্ষা? সে তো আমাদের সবর (ধৈর্য), আমাদের ত্যাগ, আমাদের কর্ম যা আশ্বাস দেয় আল্লাহর পুরষ্কারের...

(১৫৩)
আমরা অন্যদের জীবনের গল্প পড়ে ঈর্ষান্বিত হই, মুগ্ধ হই, দুঃখিত হই। কী দরকার? আপনার জীবন তো একদমই আলাদা। নিজের জীবনের গল্প নিজেই লিখুন, সেটা নিশ্চিতভাবেই আনন্দ-বেদনা-সফলতার

গল্পভরা অন্যরকম এক সমৃদ্ধ রচনা...

(১৫৪)
কেবলমাত্র বোকারাই অস্থায়ী পৃথিবীতে স্থায়ী বাড়ি/গাড়ি/সম্পর্ক খুঁজে হয়রান হয়...

(১৫৫)
কেউ আপনাকে বুঝে না বলে দুঃখ হচ্ছে? আচ্ছা ভালো কথা, আপনি নিজেই কি নিজেকে বুঝেন?

(১৫৬)
অনুভূতিদের মেরে ফেলতে চান? স্রেফ ফেলে রাখেন, ওরা আপনাআপনি মরে যাবে...

(১৫৭)
অতৃপ্ততার স্পর্শ যেসব মানুষের হৃদয়, অদ্ভুত সুন্দর মায়ামাখা প্রশান্তির জন্য তাদের দরকার মসজিদে ভোরে ফজরের সলাত শেষ হবার পরে মানুষ যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে তখন সেই মূহুর্তগুলোতে অন্যদের

সাথে আলাপ না করে রাস্তায়/বারান্দায়/ছাদে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজের সামনে নিয়ে আসা...

(১৫৮)
এই যে জীবনের এত কষ্ট-ক্লান্তি-চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-হাসি-গান ... কিছুই রবে না বেশিদিন। থাকবেন শুধু আমাদের রব আল্লাহ, যিনি আল হাইয়্যু, আল কাইয়্যুম...

(১৫৯)
উস্তাদ নুমান আলী খান আমার জীবনের মোড় ঘুরানো এক মানুষ। কত কিছু যে শিখেছিলাম তার কাছে!! অনেকদিন কোন ভিডিও লেকচার দেখিনি উনার। আজকে রবার্ট ডাভিলার ভিডিওটার কথাগুলো

জেনে কেঁদেই ফেললাম। 'রবার্ট ডাভিলা' এক অদ্ভুত প্রাণশক্তির নাম, প্রিয় রাব্বুল আলামীনের এক ভালোবাসার নাম। কী সুন্দর এক আলোকপ্রাপ্তির গল্প!

হে আমার রব! আপনার ভালোবাসার চিহ্নগুলো চারপাশে দেখতে পাই মাঝে মাঝেই খুব বেশি স্পষ্ট করে। আপনি এই মানুষগুলোকে উত্তম প্রতিদান দিন, তাদের হিফাজত করুন। আমাদেরকে হিদায়াত দিন,

আমাদের ঈমান বাড়িয়ে দিন।

# ভিডিও: রবার্ট ডাভিলার গল্প : নুমান আলী খান : http://www.youtube.com/watch?v=vthRr3gk4W4

১০ মে, ২০১৪

ভালোবাসব বাসব রে বন্ধু


আজকে একটা সম্ভাব্য প্রেমের ধ্বংস দেখতে পেলাম !!

অফিস থেকে ফিরছিলাম, রিকসা থেকে যেখানে নামলাম, সেখানে অচেনা দু'টো ছেলে আর একটা মেয়ে দাঁড়ানো, একটা রিকসা দাঁড়ানো পাশে। সেই মেয়েটার বান্ধবীকে সম্ভবত একটা' ছেলে *লাইক* করে, সেই কথাটা বন্ধুটা মেয়েটাকে বলছিলো বলে বুঝলাম। মেয়েটা কিছু একটা উত্তর দিলো। পরে শুনলাম বন্ধুটি মেয়েটিকে বললো, ''ও কি ফ্রেন্ডশিপ টাইপের রিলেশনও করবেনা?"। মেয়েটা রিকশায় উঠতে উঠতে বললো, "তোমরা রাগ কইরো না, ঠিকাছে? ভালো থাইকোওও, বাআআই!! " (একটু সুর করে)

১ মে, ২০১৪

মনের জানালা মাঝে # ১৩


(১৩৬)
মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ আলাপ শুনতে খুবই ভালো লাগতো ছোটবেলা থেকেই। এমনকি কোন বড়ভাই যদি জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন, তবে আমি পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে শুনতাম। এভাবেই একবার শিখেছিলাম সম্ভবত কোন স্যারের কাছে--

"সবসময় বড়দেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে চেষ্টা করবে কেননা সে তোমাকে তার অভিজ্ঞতা থেকে শেখাতে পারবে। পক্ষান্তরে ছোটদের বন্ধু হলে তোমাকে দেয়ার কাজ করতে হবে এবং তাতে তুমি শিখতে পারবে না, তোমার উন্নতিও হবে না।"


(১৩৭)
জীবন থেকে শিখলাম, আমাকে আপন মনে করা মানুষদের কেউ যদি কোন সাধারণ তথ্য জিজ্ঞাসা করে একটু রহস্য রেখে, তাহলে তাকে বেশি প্রশ্ন না করাই উচিত। সম্ভবত আরো কেউ তাকে আপন মনে করে সেই বিষয়টি জানতে চেয়েছে তাই তিনি পরিচয়টা আমাকে জানতে দিতে চাইছেন না।

ছোট ছোট উপলব্ধিগুলো মাঝে মাঝে বেশ মজার হয়!

(১৩৮)
"গোলাপের সৌন্দর্যে এবং গন্ধে আকৃষ্ট হলে তার কাঁটার আঘাতকেও মেনে নিতে হবে।"
-- পুরা কথাটা উপলব্ধি করিয়া বাকহারা হইয়া গিলুম! কী গভীর এক দর্শন নিহিত রহিয়াছে এই বাক্যের গভীরে... আহা! মরি মরি!

(১৩৯)
প্রতিদিন নানান কিসিমের মানুষের সাথে মিশতে মিশতে ইদানিং বারবার একটা কথা উপলব্ধি হয় যে, কেন ভালো কাজের উপদেশদাতা আর সবর বা ধৈর্য ধরতে উপদেশ দেয়া ছাড়া সব কাজই ক্ষতিকর...

সবরের (ধৈর্য) চেয়ে বেশি দরকারি আর কল্যাণকর গুণ খুব কমই আছে। ধৈর্যধারণ করে সময় অতিক্রান্ত করলে, আল্লাহর কাছে দোয়া করলে একদিন উপকার হয়। অধৈর্য হয়ে ভুল করে বসলে তার মাশুল দিতে হয় জনমভর... তবে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তো তাওবা আর দু'আ করার পথ খোলা থাকে...

(১৪০)
সুন্দর হৃদয়ের মানুষদের সান্নিধ্য পাওয়াই অনেক সময় সাহস ও অনুপ্রেরণা হয়ে যায়। তাদের অল্প কথাতেই খুঁজে পাওয়া যায় শক্তি, সাহস ও আত্মবিশ্বাস। সুবহানাল্লাহ!

(১৪১)
আমি  নিশ্চিত করে বলতে পারি, জীবনে সত্যিকারের একটা কল্যাণময় পরিবর্তন অর্জন করতে চাইলে নিজের সাথে শুধু একটা বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে যে কেউ যখন প্রশ্ন করবে, "কেমন আছেন" তখন তার উত্তরে মুখে বলতে হবে "আলহামদুলিল্লাহ ভালো" এবং তা মনে অনুভব করতে হবে।

 (১৪২)
কত মানুষকেই তো ভালোবাসি, কত কিছুকেই তো আপন করে কাছে রাখি অনেক আশায়, স্বপ্নে, দয়ায়। অথচ, জীবনের কঠিন সময়ে সবাই চলে যায়, ভুল বুঝে যায়। কেবল একজনই হৃদয়ের গুমরে ওঠা কষ্ট বুঝেন, অঝোরে ঝরে যাওয়া কান্না শোনেন, ভালোবাসায় প্রাণে শান্তির পরশ এনে দেন... তিনি আমাদের মালিক, আল্লাহ। যিনি প্রেমময় ও ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।

(১৪৩)
রেগে গিয়ে করা ভুলের ক্ষতির আফসোস করা ও ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পরিশ্রমের চেয়ে না রাগ করে সেই বিষয়টিতে ভুগতে থাকাও তো অনেক ভালো...

(১৪৪)
রোজা থাকার দিনে বিকেলে কেউ খেতে বললে যেই অনুভূতি হয় তাতে বুঝা যায়, হাল না ছাড়ার নামই প্রাপ্তি।

(১৪৫)
আপনি যদি মোবাইলের এসএমএস লিখতে গিয়ে বড় আকারের গোটা গোটা বাক্য লিখেন, তাহলে মেসেজের বিশাল সাইজ হয়ে যাবে। আগেকার দিনের টেলিগ্রাম মেসেজের মতন করেই না লিখতে হবে! তাহলেই কেবল ব্যাপক ফায়দা হবে। কম টাইপ করতে হবে, খরচ কম হবে!