১৮ ফেব, ২০১৬

মনের জানালা মাঝে # ৫১

 

(৪৬৭)
বড় হবার পর থেকে যে জিনিসটা খুব খুব ইচ্ছে হতো, তা হলো-- সবকিছু ভুলে কবে আবারো নিশ্চিন্তে বইতে ডুব দেবো। ঠিক ছোটবেলার মতন... স্বপ্নালু চোখে লেখকের লিখে যাওয়া পৃথিবীতে আমি প্রবল ভালোবাসা আর কল্পনার প্রখরতায় মনে আঁকবো লেখাগুলোর প্রতিটি দৃশ্যপট। পাঠক হবার জন্যও পৃথিবীটা খুব ছোট! চাকুরি আর দায়িত্বের বোঝা নিয়ে দিনগুলো ক্ষয়ে যায়। অথচ পড়ার ছিলো অনেক কিছু। অদ্ভুত হাহাকার লাগে! কত মানুষের কত বৈচিত্র্যময় জীবন। কূপমণ্ডূকদের মতন নিজ জগত নিয়ে মিথ্যে অহং, জান্তব ঔদ্ধত্য থেকে বেরিয়ে আসতে বইয়ের মতন দুঃসাহসী ও বিশ্বাসী বন্ধু আর কে আছে? যে পড়ে আর যে পড়ে না, তারা কি কোনোদিন সমান হতে পারে? কক্ষনো না। কোনভাবেই না!

আমাদের রব আমাদের যতটা জ্ঞান দিয়েছেন, ততটুকুই আমাদের জানা; তিনি যা শেখাননি, তার কিছুই আমরা জানিনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।

(৪৬৮)
মানুষ বদলায়, খুব বদলায়। সময়ের সাথে সাথে বদলায় রুচি, দেখার চোখ, অনুভবের হৃদয়। পরিবর্তনকে গ্রহণ করে নেয়াই নয়, তাকে অভিনন্দিত করতে না পারলে আমরা পরাজিত হবো। মন্থর থাকা স্রষ্টার সৃষ্টির কোথাও নেই। গাছের পাতা বদলায়, রং বদলায় আকাশের, ভালোলাগা-মন্দলাগা বদলায় মানুষের হৃদয়ের, বদলে যায় নদীর গতিপথ, ছায়াপথ, নীহারিকা, নক্ষত্রালোক, মায়াবী রাতের ক্ষণগুলোও... থেমে থাকেনা আমাদের আয়ু, জীবনকাল। তাই ভাংগা গড়ার এই জীবনের পরিবর্তনকে গ্রহণ করে নেয়াতেই উপায়...


(৪৬৯)
একজন জ্ঞানী মানুষের কাছে এসে এক ব্যক্তি বলেছিলো,
- আমি তো খুব ক্ষুদ্র, আমি যতই আন্তরিক চেষ্টা করি না কেন, আমি কি আদৌ কোনো পরিবর্তন করতে পারবো কিছু?

জ্ঞানী মানুষটি বলেছিলেন,
- ক্ষুদ্র কিছুর শক্তি নেই বলছো? তাহলে অন্ধকার রাতে মশার সাথে কাটিয়ো, বুঝবে ক্ষুদ্র হলেও ডেডিকেটেড থাকলে কেউ কতটা শক্তিশালী!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যান লেখককে